1 00:00:01,114 --> 00:00:08,606 গত কয়েক শতাব্দী ধরে, অণুবীক্ষণ যন্ত্র আমাদের জগতে বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছে। 2 00:00:09,036 --> 00:00:14,252 সূক্ষ্ম বস্তু, প্রাণ এবং অবয়বসমূহের জগতটাকে আমাদের সামনে উন্মোচিত করেছে 3 00:00:14,252 --> 00:00:17,158 যেগুলো এতই ছোট যে খালি চোখে দেখা সম্ভব না। 4 00:00:17,158 --> 00:00:20,177 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এর অবদান অসামান্য। 5 00:00:20,177 --> 00:00:23,404 আজ আমি এক নতুন ধরনের অণুবীক্ষণ যন্ত্র আপনাদের কাছে পেশ করতে চাই, 6 00:00:23,404 --> 00:00:25,982 পরিবর্তন দেখার অণুবীক্ষণ যন্ত্র। 7 00:00:25,982 --> 00:00:28,884 এটা সাধারণ অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মত আলোকবিদ্যা ব্যবহার করে না 8 00:00:28,884 --> 00:00:30,881 ছোট জিনিসকে বড় করে দেখবার জন্য, 9 00:00:30,881 --> 00:00:35,257 বরং তার বদলে এটি ভিডিও ক্যামেরা এবং ইমেজ প্রসেসিং ব্যবহার করে 10 00:00:35,257 --> 00:00:40,513 বস্তু এবং মানুষের সূক্ষ্মতম নড়াচড়া কিংবা রং এর হেরফেরকে আমাদের সামনে তুলে ধরে, 11 00:00:40,513 --> 00:00:44,355 যে সকল তারতম্য খালি চোখে ধরা অসম্ভব। 12 00:00:44,355 --> 00:00:48,475 এবং এটি আমাদেরকে একেবারে নতুন ভাবে জগতকে দেখতে দেয়। 13 00:00:48,475 --> 00:00:50,385 তো, রং এর হেরফের বলতে আমরা কি বুঝি? 14 00:00:50,385 --> 00:00:53,217 যেমন ধরুন, আমাদের চামড়ার রং এর সামান্য পরিবর্তন হয় 15 00:00:53,217 --> 00:00:55,214 যখন এর নীচ দিয়ে রক্ত বয়ে যায়। 16 00:00:55,214 --> 00:00:57,611 পরিবর্তনটা অতীব সূক্ষ্ম, 17 00:00:57,611 --> 00:00:59,674 একারনে, যখন আপনি অন্য একজনের দিকে তাকান, 18 00:00:59,674 --> 00:01:01,925 যখন পাশে বসা কারো দিকে তাকান, 19 00:01:01,925 --> 00:01:05,500 তাদের চামড়া বা মুখের রং এর পরিবর্তনটা আপনি দেখতে পাবেন না। 20 00:01:05,500 --> 00:01:09,860 স্টিভের এই ভিডিওটির দিকে তাকালে এটাকে একটি স্থির চিত্র বলে মনে হবে, 21 00:01:09,860 --> 00:01:13,720 কিন্তু এটাকে যখন আমাদের এই নতুন, বিশেষ দূরবীক্ষণ দিয়ে দেখি, 22 00:01:13,720 --> 00:01:16,320 তখন সহসাই আমরা একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র দেখতে পাই। 23 00:01:16,320 --> 00:01:20,250 এখানে যা দেখা যাচ্ছে তা হল, স্টিভের চামড়ার রঙের সূক্ষ্ম পরিবর্তন, 24 00:01:20,250 --> 00:01:24,686 দৃশ্যমান করার জন্য এগুলোকে ১০০ গুন বিবর্ধিত করা হয়েছে। 25 00:01:24,686 --> 00:01:27,953 আমরা আসলে এখানে মানুষের নাড়ীর স্পন্দন দেখতে পাচ্ছি। 26 00:01:27,953 --> 00:01:31,180 স্টিভের হৃদস্পন্দন কত দ্রুত চলছে তা আমরা দেখতে পাচ্ছি। 27 00:01:31,180 --> 00:01:36,535 আবার একই সাথে তা র মুখমণ্ডলের রক্ত সঞ্চালনের প্রকৃত চিত্রটাও দেখতে পাচ্ছি। 28 00:01:36,544 --> 00:01:39,175 এবং এটা করি, কেবল নাড়ীর স্পন্দন দৃশ্যমান করার জন্য নয়, 29 00:01:39,175 --> 00:01:42,646 প্রকৃতপক্ষে হৃদস্পন্দনের হারকে অনুধাবন করার জন্যেও করি, 30 00:01:42,646 --> 00:01:44,439 এবং হৃদস্পন্দনের হার মাপার জন্যেও করি। 31 00:01:44,439 --> 00:01:48,892 আর সাধারন ক্যামেরা ব্যবহার করেই আমরা এটি করতে পারি এবং রোগীর শরীর স্পর্শ না করেই। 32 00:01:48,892 --> 00:01:54,509 সুতরাং দেখতে পাচ্ছেন, এখানে আমরা একটি নবজাতকের হৃদস্পন্দনের হার বের করেছি 33 00:01:54,509 --> 00:01:57,390 সাধারন একটি ডি এস এল আর ক্যামেরায় তোলা ভিডিও থেকে 34 00:01:57,390 --> 00:01:59,206 এবং হৃদস্পন্দনের হার যা বের করেছি 35 00:01:59,206 --> 00:02:04,017 তা হাসপাতালে পর্যবেক্ষণ করা প্রমিত পরিমাপের মত একই মাত্রায় নিখুঁত। 36 00:02:04,017 --> 00:02:06,659 এবং এমনকি এটি আমাদের ধারনকৃত ভিডিও না হলেও চলবে 37 00:02:06,659 --> 00:02:09,654 প্রকৃতপক্ষে অন্য ভিডিও দিয়েও এই কাজটি করতে পারি 38 00:02:09,654 --> 00:02:13,555 তাই, এখানে আমি "Batman Begins" ছবিটা থেকে একটি ক্লিপ নিয়েছি, 39 00:02:13,555 --> 00:02:15,459 ক্রিস্টিয়ান বেলের নাড়ীর স্পন্দন দেখাতে। 40 00:02:15,459 --> 00:02:17,281 (হাসির রোল) 41 00:02:17,281 --> 00:02:19,404 এবং আপনি হয়তো জানেন যে সে মেক-আপ নিয়ে আছে, 42 00:02:19,404 --> 00:02:21,357 এই আলোর কারনে কাজটি বেশ দুরূহ হয়ে যাচ্ছে, 43 00:02:21,357 --> 00:02:24,308 তা সত্ত্বেও, কেবল এই ভিডিও থেকেই আমরা তাঁর নাড়ীর স্পন্দন বের করেছি 44 00:02:24,308 --> 00:02:26,326 এবং খুব ভালোভাবেই এটা দেখাতে পারছি। 45 00:02:26,326 --> 00:02:28,246 বেশ, তাহলে আমরা কিভাবে এগুলো করতে পারছি? 46 00:02:28,246 --> 00:02:32,844 আমরা মূলতঃ আলোর হেরফের বিশ্লেষণ করছি এই ধারণকৃত 47 00:02:32,844 --> 00:02:35,115 ভিডিওর প্রতিটি পিক্সেলে, সময়ের সাপেক্ষে, 48 00:02:35,115 --> 00:02:36,913 এবং এই হেরফেরকেই একটু চাগিয়ে দিয়েছি, 49 00:02:36,913 --> 00:02:39,075 দেখার সুবিধার্থে এগুলোকে আমরা বড় করেছি, 50 00:02:39,075 --> 00:02:40,977 কঠিন বিষয়টি হল, এই সংকেতগুলোর, 51 00:02:40,977 --> 00:02:43,910 যে হেরফের গুলো নিয়ে আমাদের কারবার, সেগুলো খুবই সূক্ষ্ম, 52 00:02:43,910 --> 00:02:46,689 তাই আমাদেরকে খুবই যত্নবান হতে হবে, যখন এদেরকে আলাদা করবেন, 53 00:02:46,689 --> 00:02:50,520 ভিডিওগুলোতে সর্বদা-বিদ্যমান এই গোলমালের ভ্রান্তি থেকে। 54 00:02:50,520 --> 00:02:53,515 তাই আমরা কিছু চাতুর্য্যময় ইমেজ-প্রোসেসিং কৌশল ব্যবহার করেছি, 55 00:02:53,515 --> 00:02:57,509 যাতে করে, অত্যন্ত নিখুঁত পরিমাপ পাওয়া যায়, ভিডিওটির প্রতিটি পিক্সেলের রং এর, 56 00:02:57,509 --> 00:03:00,179 এবং সময়ের সাথে এই রং বদলানোর ধরনের, 57 00:03:00,179 --> 00:03:02,872 আর এরপরে আমরা এই পরিবর্তন গুলোকে বহুগুণে পরিবর্ধিত করি। 58 00:03:02,872 --> 00:03:06,852 এই ধরনের বর্ধিত কিংবা বিবর্ধিত ভিডিওগুলি তৈরি করার জন্য আমরা এগুলোকে আরও বড় করে তুলি, 59 00:03:06,852 --> 00:03:09,024 যা আসলে আমাদেরকে এই পরিবর্তনগুলো দেখায়। 60 00:03:09,024 --> 00:03:13,262 কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, এভাবে শুধু রঙের সূক্ষ্ম তারতম্য দেখানোই নয়, 61 00:03:13,262 --> 00:03:15,503 পাশাপাশি সূক্ষ্ম নাড়াচাড়া গুলোও দেখানো যায়, 62 00:03:15,503 --> 00:03:19,079 আর এটা একারণেই যে, আমাদের ক্যামেরায় ধারণকৃত আলোকরশ্মি 63 00:03:19,079 --> 00:03:21,889 শুধু যে বস্তুর রঙের হেরফেরের ফলে পরিবর্তিত হয়, এমনটি নয়, 64 00:03:21,889 --> 00:03:24,257 এছাড়া বস্তুর নাড়াচাড়ার ফলেও পরিবর্তিত হয়। 65 00:03:24,257 --> 00:03:27,893 তাই, এটি আমার মেয়ে, যখন তার বয়স প্রায় দুই মাস। 66 00:03:27,893 --> 00:03:30,892 আমি প্রায় তিন বছর আগে এই ভিডিওটি ধারন করেছিলাম। 67 00:03:30,892 --> 00:03:34,100 এবং নতুন পিতামাতা হিসাবে আমরা চাচ্ছিলাম আমাদের বাচ্চারা সুস্থ্য থাকুক, 68 00:03:34,100 --> 00:03:36,642 অর্থাৎ তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে, তাঁরা জীবিত, অবশ্যই। 69 00:03:36,642 --> 00:03:38,784 তাই আমিও এরকম একটা বেবি-মনিটর জোগাড় করেছিলাম, 70 00:03:38,784 --> 00:03:41,253 যেন আমি আমার ঘুমন্ত মেয়েকে দেখতে পারি। 71 00:03:41,253 --> 00:03:44,780 এবং একটি গড়-পড়তা বেবি মনিটরে যা দেখতে পাবেন সেটি মোটামুটি এরকম। 72 00:03:44,780 --> 00:03:48,462 আপনি ঘুমন্ত শিশুটিকে দেখতে পাবেন, কিন্তু এখানে খুব বেশী কোন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে না। 73 00:03:48,474 --> 00:03:50,078 এখানে খুব বেশী কিছু দেখতে পাচ্ছি না। 74 00:03:50,078 --> 00:03:52,902 এটা কি ভালো হতো, কিংবা আরও বার্তাবহ হতো, কিংবা আরও উপকারী হতো, 75 00:03:52,902 --> 00:03:55,892 যদি আমরা এভাবে দৃশ্য গুলি ওভাবে না দেখে এভাবে দেখতাম? 76 00:03:55,892 --> 00:04:02,248 তাই, এখানে আমি নাড়াচাড়া গুলোকে নিলাম এবং ৩০ গুন বিবর্ধিত করলাম, 77 00:04:02,248 --> 00:04:06,074 আর এখন স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি, আমার মেয়ে নিশ্চিতভাবেই জীবিত এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে। 78 00:04:06,074 --> 00:04:08,327 (হাসির রোল) 79 00:04:08,327 --> 00:04:10,249 এখানে একটি পাশাপাশি তুলনামূলক চিত্র। 80 00:04:10,249 --> 00:04:12,732 তাই আবার, আদি ভিডিওটিতে, মূল ভিডিওটিতে, 81 00:04:12,732 --> 00:04:14,368 দেখার মত খুব বেশী কিছু নেই, 82 00:04:14,368 --> 00:04:18,075 কিন্তু এই নড়াচড়া কে বিবর্ধিত করলে তার নিশ্বাস-প্রশ্বাস অনেক বেশী দৃশ্যমান হয়। 83 00:04:18,075 --> 00:04:20,145 এবং দেখা যাচ্ছে, আরও অনেক ঘটনা আছে 84 00:04:20,145 --> 00:04:23,768 যেগুলো আমরা আমাদের এই নতুন অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দৃশ্যমান ও বিবর্ধিত করতে পারি। 85 00:04:23,768 --> 00:04:28,332 শরীরের মধ্যে আমাদের শিরা ও ধমনী সমূহ কিভাবে স্পন্দিত হচ্ছে তা দেখতে পারছি। 86 00:04:28,332 --> 00:04:30,960 আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, আমাদের চোখ ক্রমাগত নড়ছে 87 00:04:30,960 --> 00:04:32,847 এই রকম টলোমলো ধরনের নড়াচড়া। 88 00:04:32,847 --> 00:04:34,356 এবং এগুলি আসলে আমারই চোখ, 89 00:04:34,356 --> 00:04:37,421 এবং আবার, এই ভিডিওটি আমার মেয়ের জন্মের অব্যবহিত পরে ধারনকৃত, 90 00:04:37,421 --> 00:04:41,623 দেখতেই পাচ্ছেন, আমি খুব একটা ঘুমাতে পারিনি। (হাসির রোল) 91 00:04:41,623 --> 00:04:44,339 এমনকি একজন মানুষ যখন নিথর হয়ে বসে থাকেন, 92 00:04:44,339 --> 00:04:46,383 তখনও আমরা সেখান থেকে প্রচুর তথ্য পেতে পারি 93 00:04:46,383 --> 00:04:49,912 তার শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরন সম্পর্কে, মুখের সামান্য অভিব্যাক্তি সম্পর্কে। 94 00:04:49,912 --> 00:04:51,537 এসব নড়াচড়াকে ব্যবহার করে আমরা হয়তো 95 00:04:51,537 --> 00:04:54,691 আমাদের ভাবনা কিংবা অনুভুতি সম্পর্কে জানতে পারবো। 96 00:04:54,691 --> 00:04:57,946 সূক্ষ্ম যান্ত্রিক নড়াচড়াকেও আমরা বিবর্ধিত করতে পারি, 97 00:04:57,946 --> 00:04:59,501 যেমন ইঞ্জিন সমুহের কম্পন, 98 00:04:59,501 --> 00:05:03,193 যা যন্ত্রের সমস্যা গুলো চিহ্নিত ও বিশ্লেষণ করতে ইঞ্জিনিয়ারদেরকে সাহায্য করবে, 99 00:05:03,193 --> 00:05:07,931 কিংবা দালান ও স্থাপনা সমূহ বাতাসে কিভাবে কাঁপে ও বল প্রয়োগে কি প্রতিক্রিয়া করে তা দেখাবে। 100 00:05:07,931 --> 00:05:12,512 এই ব্যাপার গুলোকে পরিমাপ করার নানান পদ্ধতি মানব সমাজের জানা আছে, 101 00:05:12,512 --> 00:05:14,965 কিন্তু এই নড়াচড়াকে পরিমাপ করা এক জিনিস, 102 00:05:14,965 --> 00:05:17,241 আর এই নড়াচড়া গুলোকে বাস্তবে ঘটতে দেখাটা 103 00:05:17,241 --> 00:05:19,795 একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। 104 00:05:19,795 --> 00:05:22,836 এবং এই নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করার পর থেকেই 105 00:05:22,836 --> 00:05:26,789 আমরা এর কোড অনলাইনে উন্মুক্ত করে দিয়েছি যেন অন্যরা এটি ব্যবহার ও পরীক্ষা করতে পারে। 106 00:05:26,789 --> 00:05:28,664 এটি ব্যবহার করা একেবারেই সোজা। 107 00:05:28,664 --> 00:05:30,708 এটি আপনার নিজের ভিডিও নিয়েও কাজ করতে পারে। 108 00:05:30,708 --> 00:05:33,901 এমন কি কোয়ান্টা রিসার্চ এর সহযোগীরা এই দারুন ওয়েব সাইটটি বানিয়েছেন 109 00:05:33,901 --> 00:05:36,579 যেখানে আপনার ভিডিওটি আপলোড করে অনলাইনেই প্রসেস করতে পারবেন 110 00:05:36,579 --> 00:05:40,395 তাই, এমনকি কম্পিউটার বিজ্ঞান কিংবা প্রোগ্রামিং এর কোন অভিজ্ঞতা না থাকলেও 111 00:05:40,395 --> 00:05:43,331 আপনি অবলীলায় এই অণুবীক্ষণ নিয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করতে পারবেন 112 00:05:43,331 --> 00:05:45,735 এবং আমি আপনাদেরকে গোটা দুই উদাহরন দেখাতে চাই, 113 00:05:45,735 --> 00:05:48,470 যে, অন্যরা এটি দিয়ে কি করেছে। 114 00:05:48,470 --> 00:05:53,787 দেখুন, Tamez85 নামের একজন ইউটিউব ব্যবহারকারী এই ভিডিওটা বানিয়েছেন। 115 00:05:53,787 --> 00:05:55,250 এই ব্যবহারকারীকে আমি জানি না, 116 00:05:55,250 --> 00:05:57,595 কিন্তু তিনি আমাদের কোড ব্যবহার করেছেন 117 00:05:57,595 --> 00:06:01,310 গর্ভকালীন পেটের সামান্য নড়াচড়াকে বিবর্ধিত করার জন্য। 118 00:06:01,310 --> 00:06:02,912 এটি রীতিমত রোমাঞ্চকর । 119 00:06:02,912 --> 00:06:04,525 (হাসির রোল) 120 00:06:04,525 --> 00:06:09,486 লোকজন তাদের হাতের নাড়ীর স্পন্দনকে বিবর্ধিত করার জন্য এটা ব্যবহার করেছে 121 00:06:09,486 --> 00:06:13,268 আর আমরা জানি যে, গিনিপিগ ব্যবহার না করা পর্যন্ত এটাকে চোস্ত বিজ্ঞান বলা যাবে না, 122 00:06:13,268 --> 00:06:16,658 এবং আপাতত এই গিনিপিগটিকে টিফনী নামে ডাকা হয়, 123 00:06:16,658 --> 00:06:19,607 এই ইউটিউব ব্যবহারকারীর দাবী, এটি বিশ্বের প্রথম ইঁদুর গোত্রীয় প্রাণী 124 00:06:19,607 --> 00:06:22,295 যার নড়াচড়াকে বিবর্ধিত করা হয়েছে। 125 00:06:22,295 --> 00:06:24,483 এটির সাহায্যে আপনিও এরকম শিল্পকর্ম বানাতে পারবেন 126 00:06:24,483 --> 00:06:27,501 দেখুন, ইয়েলের এক ডিজাইনের ছাত্রী এই ভিডিওটি আমার কাছে পাঠিয়েছে। 127 00:06:27,501 --> 00:06:29,638 সে দেখতে চেয়েছিল, কোন পার্থক্য আছে কিনা 128 00:06:29,638 --> 00:06:31,160 তার সহপাঠীদের নড়াচড়ার ধরণে। 129 00:06:31,160 --> 00:06:35,369 সে সবাইকে স্থাণুর মত দাড় করিয়ে তাদের নড়াচড়াকে বিবর্ধিত করল 130 00:06:35,369 --> 00:06:38,747 এটা স্থির চিত্রকে সজীব হয়ে উঠতে দেখার মত, 131 00:06:38,747 --> 00:06:41,180 আর এই সবগুলি উদাহরনের চমৎকার দিকটি হচ্ছে 132 00:06:41,180 --> 00:06:43,476 যে, এগুলি নিয়ে আমাদেরকে কিছুই করতে হয়নি। 133 00:06:43,476 --> 00:06:47,330 আমরা কেবল একটি নতুন উপায় যুগিয়েছি মাত্র, জগতকে দেখার একটি নতুন উপায়, 134 00:06:47,330 --> 00:06:52,462 আর তখন লোকজন এটাকে ব্যাবহারের আরও মজাদার, নতুন ও অভিনব সব উপায় খুঁজে বের করল। 135 00:06:52,462 --> 00:06:54,226 কিন্তু আমরা এখানেই থেমে যাইনি। 136 00:06:54,226 --> 00:06:57,477 এই যন্ত্রের সাহায্যে জগতকে শুধু নতুন ভাবে দেখা ই নয়, 137 00:06:57,477 --> 00:06:59,845 আমাদের সক্ষমতাকে এটি নতুন করে সংজ্ঞায়িত করে 138 00:06:59,845 --> 00:07:03,026 আর ক্যামেরা নিয়ে করা আমাদের কর্মকাণ্ডের পরিধি অনেকগুন বাড়িয়ে দেয়। 139 00:07:03,026 --> 00:07:05,255 তাই বিজ্ঞানী হিসেবে আমরা কৌতূহলী হলাম, 140 00:07:05,255 --> 00:07:09,040 বস্তুজগতের আর কোন ঘটনায় সূক্ষ্ম নড়াচড়ার উৎপত্তি হয় 141 00:07:09,040 --> 00:07:11,943 যেগুলোকে আমরা আমাদের ক্যামেরা দিয়ে পরিমাপ করতে পারি? 142 00:07:11,943 --> 00:07:15,944 আর শব্দ হল সেই রকম একটি ঘটনা, যার প্রতি সম্প্রতি আমাদের মনোযোগ কেন্দ্রিভুত হয়েছে। 143 00:07:15,944 --> 00:07:18,049 শব্দ, আমরা জানি যে, মূলতঃ এটি হচ্ছে পরিবর্তন, 144 00:07:18,049 --> 00:07:20,232 বাতাসের চাপের, যা বাতাসের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়। 145 00:07:20,232 --> 00:07:23,853 এই চাপ-তরঙ্গ কোন বস্তুকে আঘাত করলে সেই বস্তুটিতে সূক্ষ্ম কম্পন তৈরি হয়, 146 00:07:23,853 --> 00:07:26,385 ঠিক একারণেই আমরা শব্দ শুনতে পারি এবং রেকর্ড করতে পারি। 147 00:07:26,385 --> 00:07:30,053 কিন্তু দেখা গেল, শব্দের দ্বারা দৃশ্যমান নড়াচড়াও তৈরি হয়। 148 00:07:30,053 --> 00:07:32,886 এই নড়াচড়াগুলো আমরা দেখতে পাই না 149 00:07:32,886 --> 00:07:35,887 কিন্তু যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন ক্যামেরাগুলো এই নড়াচড়া দেখতে পায়। 150 00:07:35,887 --> 00:07:37,460 তো, দুটো উদাহরণ দেখা যাক, 151 00:07:37,460 --> 00:07:40,074 এটি আমি, আমার দুর্দান্ত সংগীত প্রতিভার প্রমান দিচ্ছি। 152 00:07:41,064 --> 00:07:42,698 (সংগীত) 153 00:07:42,698 --> 00:07:44,134 (হাসির রোল) 154 00:07:44,134 --> 00:07:47,120 এবং গলা সাধার সময়ে আমার কণ্ঠদেশের একটি হাই-স্পীড ভিডিও ধারন করলাম। 155 00:07:47,120 --> 00:07:48,884 এখানেও, ভিডিওটি ভাল করে দেখলেও, 156 00:07:48,884 --> 00:07:50,960 আপনি খুব বেশি একটা কিছু দেখতে পাবেন না, 157 00:07:50,960 --> 00:07:55,292 কিন্তু যখন এর নড়াচড়াকে ১০০ গুন বিবর্ধিত করি, তখন সব নড়াচড়া ও কম্পন দৃশ্যমান হয়ে যায়, 158 00:07:55,292 --> 00:07:58,566 ঘাড়ে অবস্থিত এগুলো শব্দ উৎপাদনের কাজে নিয়োজিত। 159 00:07:58,566 --> 00:08:01,306 এই ভিডিওতে এর নিদর্শন দেখা যাচ্ছে। 160 00:08:01,306 --> 00:08:03,976 আমরা এও জানি, অনেকে গান গেয়ে কাঁচের পানপাত্র ভাঙতে সক্ষম, 161 00:08:03,976 --> 00:08:05,439 যদি তিনি উপযুক্ত সুরটা ধরেন। 162 00:08:05,439 --> 00:08:07,204 তাই এখানে আমরা একটি সুর বাজাতে যাচ্ছি 163 00:08:07,204 --> 00:08:09,730 এটির কম্পাঙ্ক এই গ্লাসের অনুনাদ-কম্পাঙ্কের সমান 164 00:08:09,730 --> 00:08:11,778 পাশে রাখা একটি লাউড-স্পীকার থেকে আসছে। 165 00:08:11,778 --> 00:08:16,197 যখন সুরটা বাজালাম এবং তার কম্পনের মাত্রা ২৫০ গুন বিবর্ধিত করলাম, 166 00:08:16,197 --> 00:08:18,535 গ্লাসটি কিভাবে কাঁপছে তা আমরা খুব পরিস্কার ভাবেই দেখতে পাচ্ছি 167 00:08:18,535 --> 00:08:22,105 এবং এই শব্দের প্রতিক্রিয়ায় সেটির অনুরণন ও দেখতে পাচ্ছি। 168 00:08:22,105 --> 00:08:24,525 এটি এমন কিছু নয় যা আপনি হরহামেশা দেখতে পাবেন। 169 00:08:24,525 --> 00:08:28,054 কিন্তু এটি আমাদের ভাবনার খোরাক যুগিয়েছে। এটি আমাদেরকে এই ক্ষ্যাপাটে বুদ্ধিটা দিয়েছে। 170 00:08:28,054 --> 00:08:33,662 আমরা কি পুরো প্রক্রিয়াটা উল্টো দিকে চালাতে পারি এবং ভিডিও দেখে শব্দ উদ্ধার করতে পারি, 171 00:08:33,662 --> 00:08:37,697 শব্দ তরঙ্গের ধাক্কায় বস্তুতে উৎপন্ন সূক্ষ্ম সেই সব কম্পন বিশ্লেষণ করে? 172 00:08:37,697 --> 00:08:42,474 এবং মুলত যে শব্দ থেকে এই কম্পনসমুহ উৎপন্ন হয়েছিল সেই শব্দেই পুন-রূপান্তর করতে পারি? 173 00:08:42,474 --> 00:08:46,931 এভাবে আমরা নিত্য নৈমিত্তিক জিনিসপত্র গুলোকে এক একটা মাইক্রোফোনে পরিনত করতে পারি। 174 00:08:46,931 --> 00:08:49,163 এবং ঠিক এই কাজটাই আমরা করেছি। 175 00:08:49,163 --> 00:08:51,979 দেখুন, এখানে টেবিলের উপরে চিপসের একটি খালি প্যাকেট পরে আছে, 176 00:08:51,979 --> 00:08:54,804 এবং আমরা এই চিপসের প্যাকেটটিকে মাইক্রোফোনে পরিনত করতে যাচ্ছি, 177 00:08:54,804 --> 00:08:56,395 এটিকে ভিডিও ক্যামেরায় ধারন করে 178 00:08:56,395 --> 00:08:59,623 এবং শব্দ তরঙ্গের ফলে উদ্ভুত সূক্ষ্ম নড়াচড়াকে বিশ্লেষণ করে। 179 00:08:59,623 --> 00:09:02,419 এটি হচ্ছে সেই শব্দ যা আমরা এই ঘরের ভিতরে বাজিয়েছিলাম, 180 00:09:02,419 --> 00:09:06,853 (সঙ্গীতঃ "মেরী হ্যাড আ লিটল ল্যাম্ব") 181 00:09:10,007 --> 00:09:13,032 এবং এটি সেই চিপসের প্যাকেটের ধারণকৃত হাইস্পিড ভিডিও। 182 00:09:13,032 --> 00:09:14,306 এটিকে আবারও চালাই। 183 00:09:14,306 --> 00:09:17,648 এই ভিডিওতে যা কিছু ঘটছে আপনার তা দেখার কোন সম্ভাবনাই নেই, 184 00:09:17,648 --> 00:09:18,706 যদি শুধু এটি দেখতে থাকেন, 185 00:09:18,706 --> 00:09:21,690 কিন্তু এখানে এই সেই শব্দ যা আমরা পুনরুদ্ধার করেছি 186 00:09:21,690 --> 00:09:23,873 ভিডিওটিতে লুকানো সূক্ষ্ম কম্পন বিশ্লেষণ করে। 187 00:09:23,873 --> 00:09:26,682 (সঙ্গীতঃ "মেরী হ্যাড আ লিটল ল্যাম্ব") 188 00:09:40,985 --> 00:09:42,471 আমি এটিকে ডাকি -- ধন্যবাদ -- 189 00:09:42,471 --> 00:09:47,696 (করতালি) 190 00:09:49,878 --> 00:09:52,223 আমি এটিকে দৃষ্টিলব্ধ মাইক্রোফোন বলে ডাকি। 191 00:09:52,223 --> 00:09:55,613 আমরা আসলে ভিডিওর সংকেত দেখে শব্দ সংকেত বের করে আনি। 192 00:09:55,613 --> 00:09:58,794 এবং আপনাদেরকে এখানে এই নড়াচড়ার মাত্রা সম্পর্কে একটু ধারনা দিচ্ছি, 193 00:09:58,799 --> 00:10:04,135 একটি বিকট শব্দের ধাক্কাতেও চিপসের এই প্যাকেটটি এক মাইক্রোমিটারের কম নড়বে, 194 00:10:04,135 --> 00:10:06,874 এটি এক মিলিমিটারের হাজার ভাগের এক ভাগ। 195 00:10:06,874 --> 00:10:10,435 এমনই সূক্ষ্ম এই নড়াচড়া, যেগুলোকে আমরা এখন ধরতে সক্ষম হচ্ছি, 196 00:10:10,435 --> 00:10:13,678 বস্তুগুলো থেকে আলো কিভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে, কেবলমাত্র তা পর্যবেক্ষন 197 00:10:13,678 --> 00:10:15,814 এবং ক্যামেরায় ধারন করার মাধ্যমে। 198 00:10:15,814 --> 00:10:19,064 আমরা অন্যান্য বস্তু থেকেও শব্দ পুনরুদ্ধার করতে পারি, যেমন গাছ। 199 00:10:19,064 --> 00:10:25,380 (সঙ্গীতঃ "মেরী হ্যাড আ লিটল ল্যাম্ব") 200 00:10:27,214 --> 00:10:29,211 এবং এমনকি আমরা কথাও পুনরুদ্ধার করতে পারি। 201 00:10:29,211 --> 00:10:31,788 দেখুন, ঘরের ভিতরে একজন কথা বলছেন। 202 00:10:31,788 --> 00:10:35,991 কন্ঠস্বরঃ মেরী হ্যাড আ লিটল ল্যাম্ব হুজ ফ্লীচ ওয়াজ হোয়াইট এজ স্নোও 203 00:10:35,991 --> 00:10:40,221 এন্ড এভরিহোয়ার দ্যাট মেরী ওয়েন্ট, দ্যাট ল্যাম্ব ওয়াজ শিওর টু গোও। 204 00:10:40,221 --> 00:10:42,980 মাইকেল রুবিনস্টেইনঃ এবং এখানে সেই পুনরুদ্ধার করা কন্ঠস্বর, 205 00:10:42,980 --> 00:10:46,254 স্রেফ এই চিপসের প্যাকেটের ভিডিও থেকে উদ্ধার করা। 206 00:10:46,254 --> 00:10:51,085 কন্ঠস্বরঃ মেরী হ্যাড আ লিটল ল্যাম্ব হুজ ফ্লীচ ওয়াজ হোয়াইট এজ স্নোও 207 00:10:51,085 --> 00:10:55,944 এন্ড এভরিহোয়ার দ্যাট মেরী ওয়েন্ট, দ্যাট ল্যাম্ব ওয়াজ শিওর টু গোও। 208 00:10:55,944 --> 00:10:58,290 মা রুঃ আমরা "মেরী হ্যাড আ লিটল ল্যাম্ব" ব্যবহার করেছি 209 00:10:58,290 --> 00:11:00,413 কারন, কথিত আছে যে এগুলোই সেই প্রথম শব্দমালা 210 00:11:00,413 --> 00:11:04,574 যা ১৮৭৭ সালে টমাস এডিসন তার ফনোগ্রাফ যন্ত্রে ধারন করেছিলেন। 211 00:11:04,574 --> 00:11:07,802 এটি ছিল ইতিহাসের প্রথম শব্দ ধারন যন্ত্রগুলির একটি। 212 00:11:07,802 --> 00:11:11,129 এটি মুলতঃ শব্দকে একটি ডায়াফ্রাম এর দিকে ধাবিত করতো, 213 00:11:11,129 --> 00:11:15,208 যেটি একটি সূঁচকে প্রকম্পিত করত যা রাংতার উপরে এই শব্দ তরঙ্গকে খোদাই করেছিল, 214 00:11:15,208 --> 00:11:17,483 রাংতাটি একটি বেলনের গায়ে মোড়ানো ছিল। 215 00:11:17,483 --> 00:11:23,426 এখানে এডিসনের ফনোগ্রাফ যন্ত্রে শব্দ ধারন এবং সেটিকে পুনরায় বাজানোর প্রদর্শনী হচ্ছে। 216 00:11:23,426 --> 00:11:26,446 (ভিডিও) কণ্ঠস্বরঃ টেস্টিং, টেস্টিং, ওয়ান টু থ্রি। 217 00:11:26,446 --> 00:11:29,859 মেরী হ্যাড আ লিটল ল্যাম্ব হুজ ফ্লীচ ওয়াজ হোয়াইট এজ স্নোও 218 00:11:29,859 --> 00:11:33,528 এন্ড এভরিহোয়ার দ্যাট মেরী ওয়েন্ট, দ্যাট ল্যাম্ব ওয়াজ শিওর টু গোও। 219 00:11:33,528 --> 00:11:36,268 টেস্টিং, টেস্টিং, ওয়ান টু থ্রি। 220 00:11:36,268 --> 00:11:40,424 মেরী হ্যাড আ লিটল ল্যাম্ব হুজ ফ্লীচ ওয়াজ হোয়াইট এজ স্নোও 221 00:11:40,424 --> 00:11:45,648 এন্ড এভরিহোয়ার দ্যাট মেরী ওয়েন্ট, দ্যাট ল্যাম্ব ওয়াজ শিওর টু গোও। 222 00:11:45,648 --> 00:11:49,665 মা রুঃ আর এখন, ১৩৭ বছর পরে, 223 00:11:49,665 --> 00:11:53,752 আমরা প্রায় একই মানের শব্দ উদ্ধার করতে সক্ষম 224 00:11:53,752 --> 00:11:57,831 কিন্তু, কেবলমাত্র শব্দের কারনে বস্তুর কম্পনকে ক্যামেরার সাহায্যে পর্যবেক্ষন করে, 225 00:11:57,831 --> 00:11:59,765 এবং এটি করতে পারি, এমনকি যদি ক্যামেরাটি 226 00:11:59,765 --> 00:12:03,999 থাকে বস্তুটির থেকে ১৫ ফুট দূরে, শব্দ নিরোধক কাঁচের দেয়ালের ওপাশে। 227 00:12:03,999 --> 00:12:07,219 তো, এক্ষেত্রে যে শব্দমালা আমরা পুনরুদ্ধার করতে পেরেছি তা হল, 228 00:12:07,219 --> 00:12:12,513 কন্ঠস্বরঃ মেরী হ্যাড আ লিটল ল্যাম্ব হুজ ফ্লীচ ওয়াজ হোয়াইট এজ স্নোও 229 00:12:12,513 --> 00:12:17,272 এন্ড এভরিহোয়ার দ্যাট মেরী ওয়েন্ট, দ্যাট ল্যাম্ব ওয়াজ শিওর টু গোও। 230 00:12:17,404 --> 00:12:21,034 মা রুঃ আর হ্যাঁ, নজরদারি - এই প্রায়োগিক দিকটি ই সবার আগে আমাদের মনে উঁকি দিয়েছে। 231 00:12:21,034 --> 00:12:24,029 (হাসির রোল) 232 00:12:24,029 --> 00:12:28,085 কিন্তু অন্য অনেক ক্ষেত্রেও এটি উপযোগী হতে পারে। 233 00:12:28,085 --> 00:12:30,925 হয়তো আগামিতে এটিকে আমরা ব্যবহার করতে পারবো, যেমন ধরুন, 234 00:12:30,925 --> 00:12:33,177 শূন্যস্থানের ওপাশের শব্দকেও পুনরুদ্ধার করতে পারবো, 235 00:12:33,177 --> 00:12:36,753 কারন শূন্যস্থানের ভিতর দিয়ে শব্দ যেতে পারে না, কিন্তু আলো যেতে পারে। 236 00:12:36,753 --> 00:12:39,157 আমরা কেবল অন্বেষণ শুরু করেছি মাত্র, 237 00:12:39,157 --> 00:12:42,176 এই নতুন প্রযুক্তির সম্ভাব্য অন্যান্য ব্যাবহারের। 238 00:12:42,176 --> 00:12:45,008 এটি সেসব বস্তুগত প্রক্রিয়া দেখাচ্ছে যে গুলো আমাদের জানা 239 00:12:45,008 --> 00:12:48,564 অথচ সেগুলো আজ পর্যন্ত আমরা আমাদের চোখে দেখতে পারিনি। 240 00:12:48,564 --> 00:12:49,768 এই যে এখানে আমাদের দলটি। 241 00:12:49,768 --> 00:12:52,647 আজকে এখানে যা কিছু আপনাদেরকে দেখালাম তা সবই এঁদের সহযোগিতার ফল, 242 00:12:52,647 --> 00:12:54,838 এই যে অসাধারন ব্যক্তিবর্গকে এখানে দেখছেন, 243 00:12:54,838 --> 00:12:58,005 এবং আমাদের ওয়েবসাইট ঘুরে আসতে উৎসাহ দিচ্ছি আর সাদর আমন্ত্রন জানাচ্ছি, 244 00:12:58,005 --> 00:12:59,451 নিজে চেষ্টা করে দেখুন, 245 00:12:59,451 --> 00:13:02,423 এবং আমাদের সাথে যোগ দিয়ে সূক্ষ্ম নড়াচড়ার জগতটাকে উন্মোচন করুন। 246 00:13:02,423 --> 00:13:04,048 ধন্যবাদ। 247 00:13:04,048 --> 00:13:05,302 (করতালি)