প্রশ্নের সম্মুখে চিত্রকলা এক বলবর্ধক খাবার শস্যক্ষেতে ফসল কাটায় মগ্ন চাষী যতদুরে চোখ যায় ততদূর পর্যন্ত ঢেউখেলানো গ্রামাঞ্চল, পিটার ব্রুগেলের আঁকা চিত্র সহানুভুতির চোখে দেখা কৃষীজীবী জীবন... ...না কী প্রভাবশালী জমিদারের অনুগ্রহপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গী? উত্তরটা আপাতদৃষ্টিতে সহজ মনে হয়: এই চিত্রটি একটি সিরীজের অন্তর্গত যেটি একজন নগরবাসী অপরজনের জন্য এঁকেছে- এক ধনী এন্টওয়ার্প ব্যবসায়ী... ...এবং চিত্রে দৃশ্যমান মানুষের রক্তাভ, কৃশ মুখমণ্ডল আমাদেরকে তাদের জীবনযাত্রার শরীক হতে বিন্দুমাত্র আকৃষ্ট করেনা। অতএব, এই কৃষিজীবীদের মাঝে শিল্পী ও তার পৃষ্ঠপোষক কী খোঁজে ? পিঁপড়েসম এই কর্মজীবীদের উঁচু থেকে দেখার আনন্দ? এবং তাদের দেখে পরিহাস করা? না কী সত্যিই এদের দেখে শিল্পী ও তার পৃষ্ঠপোষকের মনে উৎসাহ জাগে? দশম অধ্যায় : ব্রুগেল - La Moisson, মাঠেই সুখের রসদ লুকিয়ে আছে? প্রথম ভাগ : কৃষকদের মুহূর্ত মলিন চাঁদের নীচে... ...সোনালি শস্য... নিয়মানুযায়ী কাটা... ...আটি করে রাখা... ...বাঁধা... ...এবং পরিবহন করা... ...সবটাই প্রায় এক জ্যামিতিক ছাঁচে... ...এসবই আমাদের দৃষ্টিকে দুটি পথের দিকে নর্দেশ করে: প্রথমত, গ্রামের দিকে... ...যেখানে গীর্জাকে কেন্দ্র করে বসতি গড়ে উঠেছে। এবং...অপরদিকে মানুষের তৈরী পৃথিবী... মানবনির্মিত জলাশয়. দূর্গ ও টাউন ( বাজারহাটের জন্য ), টোল সেতু ঘোরানো রাস্তা। এই নাশপাতি বোঝাই গাছটি মানুষের ও প্রকৃতির উৎপাদনশীলতার ঊৎকৃষ্ট নিদর্শন, এই উৎপাদনশীলতার মূলে রয়েছে কৃষকরা। একদিকে ঘুমন্ত মানুষের ক্লান্তি ও শ্রান্তি...., অন্যদিকে ক্ষুধার্ত মানুষের খাবারের তোড়জোড়। প্রথমে আসে জাউ, তারপরে ছুরি দিয়ে চীজ ও রুটি কেটে খাওয়ার পালা, এর পরবর্তী ধাপ হল ফলাহার। এ যেন প্রায় এক প্রভু / মনিবের আহার! এতদসত্ত্বেও এই চিত্রটি কৃষকদের চিরাচরিত গ্রামজীবনের ছন্দ ও প্রথাকেই তুলে ধরে। সত্যি বলতে কী, সম্পূর্ণ চিত্রটি নানান বৈশিষ্ট্যে পরিপূর্ণ এবং সময় - কাজ ও পরিবর্তনের মধ্যে স্পষ্টভাবে প্রকাশিত সময় এই চিত্রে বহমান ও এই সময়র নানা মূর্ছনাই । চিত্রটিকে সজীব করে তোলে যেমন ধরা যাক,এই অদ্ভুত ঝুলন্ত আকৃতিগুলি.... ....হল আপেল যেগুলো এই কৃষকেরা গাছ ঝাঁকিয়ে পেয়েছে... ...আর বাচ্চারা সেগুলো জড়ো করছে । আর এখানে, আরেকজন ফলকুড়ানীর পাশে, সময় তার গতি বাড়ায়, এবং আমরা এক দল লোককে খুব দ্রুততার সঙ্গে অন্যদের পিছু ধাওয়া করছে হয়ত অনধিকার-প্রবেশকারী, যাদের রক্ষীরা দূর্গের থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে? অন্যদের কাছে, এটা বিশ্রামের সময়: স্নানরত সাধুদের এই দৃশ্যটি এক কর্মক্রমকে প্রতিফলিত করে। - পোশাক পরিহিত, - পোশাক ছাড়া, -জলে প্রবেশ করা, - জলের তাপ পরীক্ষা করা, - জলে ডুব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়া, - সাঁতার কাটা - উৎসাহে হাত উঁচিয়ে দোলানো। এবং এই গ্রামবাসীরা লাঠি ছোড়ার খেলা খেলছে: যে হংসীকে মারতে পারবে সে সেটাকে রাখবে... এই খেলাকে ২ শতক পরে হগার্থ হিংস্র ও জংলী বলে ভৎসনা করেছে। এছাড়াও, এই চিত্রে একজনকে মলত্যাগ করতে দেখা যায় এক কৃষকের পরিচ্ছন্ন বাড়ির সামনে। এই মোটিফ, যেটি ব্রুগেলের প্রভরবসে বারেবারেই আসে, হল তাচ্ছিল্যের ধ্রুপদী অভিব্যাক্তি - পৃথিবীর জন্যেই হোক, যেমন এখানে, অথবা কতৃত্বের জন্য হোক, যা ফাঁসিকাঠ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম নজরে এই চিত্রটি সমাজের ৩টি শ্রেণীকে তুলে ধরেছে বলে মনে হয় - যারা ঋতুর মত অপরিবর্তনীয় : অভিজাতরা যারা সমাজে নিয়ম ও শান্তি বজায় রাখার জন্য লড়াই করে, ধর্মযাজরা যারা সকলের রক্ষার জন্য প্রার্থনা করে, এবং সাধারণ মানুষ নিজেদের ও অম্যের জাগতিক প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যে কাজ করে। কিন্তু চিত্রে দূর্গটিকে পরিত্যক্ত দেখায়, চিত্রে সাধুরা প্রার্থনা করেনা, এবং এখানে শুধুমাত্র কৃষকেরাই কাজ করে। শুধুমাত্র কৃষকেরাই? ঠিক তা নয়! দূরে ঐ জাহাজেরা নৌবানিজ্যের অপেক্ষায় আছে, যে বানিজ্য ক্রমশ বিস্তারলাভ করছে। চিত্রে এই একটি গুরূত্বপূর্ণ পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় ...এবং এটি হরাইজনে ঘটে, প্রাচীন সামন্তপ্রথার ঘেরাটোপের নাগাল থেকে অনেক দুরে। সুতরাং এ চিত্রের আসল নায়ক কে? কৃষক যে তার জমি একমনে চাষ করছে, না কী ব্যবসায়ীরা যারা কৃষক ও সারা বিশ্বের উপর আধিপত্য বিস্তার করেছে? দ্বিতীয় ভাগ : স্বার্থ ও দূরত্ব ব্যাবসায়ীর নাম জঁজেলিংক. এবং ব্রুগেলের আঁকা ঋতুর সিরিজ জঁজেলিংকের দেশের বাড়ীর ভোজনশালার দেওয়ালে ঝুলত। সে এই কৃষকদের কী নজরে দেখে? তারা আমাদের উপর বিশেষ আস্থা রাখে বলে মনে হয়না ...বলা যেতে পারে যে আমাদের নজর তাদের কাছে অনভিপ্রেত! ...এবং ব্রুগেলের এই মোটিফ দ্ব্যার্থক : ব্রুগেলের মৌমাছিপালকের চিত্রে, বিশেসজ্ঞরা অপেশাদারদের হার মানায় ও মধু নিয়ে চম্পট দেয়। এই দৃশ্যে, বিদ্রূপকারী কৃষক, যে নিজে নদীতে প্রায় পড়ো পড়ো অবস্থায়, গাছে চড়া পাখীর বাসা শিকারীর মতই কৌতুকের উৎস। চুরী একপ্রকারের আানন্দদায়ক বিষয় হতে পারে - ধরো এই তরুণ কৃষক, যে জগতের প্রতীক, সে চতুরতার সঙ্গে অশুভ মনুষ্যদ্বেষীর বেল্ট থেকে তার বটুয়া কেটে নেয়। ব্রুগেল ও তার পৃষ্ঠপোশক উভয়েই স্বভাবগতদিকথেকে সাধারণ জীবনকে দুর থেকে দেখে- এবং এই দৃষ্টিভঙ্গীই তাদেরকে চুরির মত অপরাধকে হাল্কাচোখে দেখার ধারনা দেয়। ব্যাবসায়ী এটিকে সাধারণ হিসাব-নিকাশের দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখতে পারে: যেহেতু ফল ও আঁটি গুনতে পারা যায়, এবং সেইসঙ্গে কজনের পেট চালাতে হবে সেটাও- অতিরিক্ত পরিমাণটাও গোনা যায়! কিন্তু ব্রুগেল এবং তার বিষয়বস্তর মধ্যে দূরত্ব আরও পরিস্কার হয় তার কর্মরত মানুষদের দৈহিক বৈশিষ্ট্যের ব্যবহারে। এই গ্রীষ্মকালীন দৃশ্যের কথা ধরা যাক, যেখানে মুখমণ্ডল কলসী/ঘরা ও ঐজাতীয় বস্তু দিয়ে ঢাকা মহিলাদের দেখলে মনে হয় ারা যেন সেই আটি যেগুলো তারা বাঁধছে, এবং এটা জলের ঘড়া মানুের আকার নিয়েছে- যেন এই লোকেরা, যারা অন্যথা অত্যন্ত স্বতন্ত্র - যে কাজ তারা করছিল ার সঙ্গে একীভূত হচ্ছিল। প্রয়াস ও দক্ষতার উপর ভিত্তি করে কাজ; জঁজেলিংকের মত বুদ্ধিজীবী মানুষের ভাবনার বাইরে ছিল: একজন উৎসাহী চিত্রপ্রেমী হিসাবে, তিনি ফ্রান্স ফ্লোরিসের কাছে আারও দুটো সিরিজ অর্ডার করেছিলেন িজের বসতবাড়ির জন্য। একটি ৭ প্রকারের উদার শিল্পকলা/লিবেরাল আর্টের গুণগান করে - বিশেষভাবে তারিফ করার যোগ্য কারণ তারা সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ জ্ঞানের প্রায় সদৃশ যা কোনো উপযোগবাদী উদ্দেশ্য সাধন করেনা : চারটি গনিতের সাথে যুক্ত, - পাটিগিত, জ্যামিতি, সঙ্গীত এবং জ্যোির্বিদ্যা- এবং তনটি যুক্ত বক্তৃতার সঙ্গে - ব্যাকরণ, অলঙ্কারশাশ্ত্র এবং যুক্তি বিজ্ঞান- অন্য সিরিজের অন্তর্গত চিত্রগুলি হারকিউলিসের ১২ টি কাজের নমনা প্রদর্শন করে, যেগুলি অভিজাত শ্রেণীর মানুষের মানসিকার পরিচায়ক। সত্যিটা হল, এই সিরিজ দুটি ব্রুগেলের থেকে ব্হুগূণ বেশী গতানুগতিক ও গদবাঁধা : এগুলি হল ভারী রূপক যা একজন সদ্য ধনী ব্যক্তি সংগ্রহ করতে পারে, যেকোনো উদ্বুদ্ধ রাজকুমারের আচরণকে নকল করার জন্য। কেন আমাদের মনে হয় যে এই অমার্জিত কৃষকদে উৎসাহী নজরে আমাদের দেখা উচিত? তৃতীয় অধ্যায় : কৃষকেরা অগ্রভাগে! ব্রুগেলের আগে, কৃষকেরা সর্বদাই এই , তারা পবিত্র স্থলের ঠিক বাইরে থাকে - একটি আস্তাবলে! তাদের বিষন্ন,কর্কশ মুখমণ্ডলের পাশে,... ...ভার্জিন / কুমারীর উপস্থিতি এক উজ্জ্বল, পাংশু এবং কমনীয় দৃশ্য। এই সময় বইটিতে, অভিজাতদের সঙ্গে তাদের জীবনের তুলনা করা হয়েছে, সেই জগতে যার সীমা নির্ধারিত হয়েছে তার শাসকের গৌরবময় দূর্গ দ্বারা। খাওয়া-দাওয়া, শিকার এবং সুসভ্য প্রেম অভিজাতদের জন্য! হাড়ভাঙা খাটুনি হল কষকদের জন্য! এক শতক পরে, ব্রুগেল সবটাই উল্ল্টেপাল্টে দেন : ...এবং অভিজাতদের জীবন তুচ্ছ ও অপ্রাসঙ্গিক দেখান। "ঋতু" সিরিজের অন্য চিত্রগুলি এই ধারণাকে সুনিশ্চিত করে: জগৎ প্রসারিত হয়েছে, গরিমাণ্বিত দুর্গগুলি অপসৃত হয়েছে এবং আপাতবিরোধীভাবে, কৃষকদের জগৎ আকর্ষণীয় হয়েছে। কেন? হয়ত জাগতিক বিষয়ে সম্পূর্ণ মগ্ন মধ্যিত্ত শ্রেণীর অভিজাত / এলিটেরা - গোপনে কৃষকের ক্ষুদ্র দুনিয়াকে ইর্ষা করে। যখন ঝড়বিদ্ধস্ত জাহাজেরা সমুদ্রে হারিয়ে যায়, এবং যখন তাদের সঙ্গে প্রচুর দৌলতও হারিয়ে যায়... ...কৃষকদের জীবন চুপচাপ বয়ে চলে... ...এবং এমনকী খেলা ও কাগজের রাজার ভূমিকা পালনের অবকাশও রাখে, একটি কাগজের তৈরী মুকুট, ২টি ভারী গদি ও গরুর গলা থেকে নেওয়া একটা কলার এই শিশুটিকে শিশু যীশু খ্রীষ্টের কাছে যে তিনজন জ্ঞানী ব্যক্তি উপহার এনেছিলেন,তাদের একজন বলে মনে করতে ভাবাবে, এবং বড়দের জন্য পৌরাণিক যুগের গ্রাম্য প্রেমের নকল করতে শুধুমাত্র একটা বাঁশীর প্রয়োজন। এখানে দুজন শহুরে পর্যটক এই আত্মসচেতনতাহীন কাঠামোর মাঝে আবির্ভূত হয় এবং অশুভ ফাঁসিকাঠের সামনে আনন্নৃদে নৃত্যরতরা... ...এই ফাঁসীকাঠ "ঋতু"র এই পৃথক প্যানেলেও দেখতে পাই। অপরাধীর মৃত্যদণ্ড কার্যকর করার স্মৃতি সাম্প্রতিক,... কিন্তু এই দৃশ্যের গুরূত্বপূর্ণ দিক হল খুশীতে ভরপুর এই গবাদী পশুদের স্থূল পশ্চৎদেশ দেখে আনন্দ উপভোগ করা, ...দুলকি চালে যারা শান্ত পল্লীর দিকে যাচ্ছে, যেখানে শিশুরা খেলছে। সবশেষে, এই শীতের দৃশ্যে শিল্পীর কৌতুকপূর্ণ প্রবৃত্তি, যিনি চিত্রে কুকুরের ঠাণ্ডায় জমে যাওয়া মাথা লুকিয়ে রাখেন এবং প্রায় অবাস্তব, ছিপি খোলার সরু পকানো স্ক্রুএর মত একগুচ্ছ পেঁচালো লেজ উপহার দেন... ...সর্বোপরি, ঐ স্কেটিংএর দৃশ্য যা এই খেলায় মগ্ন গ্রামবাসীদের মানবিকতাকে কর্মরত গ্রামবাসীদের প্রতিক্রিয়া ও মনোভাবের থেকে অনেক বড় করে দেখিয়েছে। দুই প্রান্তের মধ্যে - এক প্রান্তে থাকা দর্শকেরা এবং দক্ষ কর্মসম্পাদনকারী, আমরা পাই: ...সাবধানী শিক্ষানবিশ... ...যারা অপরকে সাহায্য করে... ...দূর্ঘটনা... ...আকস্মিক দূর্যোগ... ...এবং বিস্ময়... সুতরাং জঁজেলিংক ও কৃষকদের মধ্যে ব্যাবধানটা তাদের স্বভাবের দিক থেকে নয় - যেমনটা দেখা যায় ভুমিদাস ও তার সামন্তপ্রভুর মধ্যে- কিন্তু পার্থক্যটা জ্ঞান ও উৎসাহের পরিির। জঁজেলিংকের কাছে ব্রুগেলের আঁকা আরও একটা ছবি ছিল: "বাবেলের টাওয়ার". যেটি ব্রুগেল এক সমসাময়য়িক ফ্লেমিশ শহরের প্রক্ষাপটে এঁকেছিলেন। এটি অবশ্যই মানুষের গর্বকে প্রকাশ্যে ভৎসনা করে। কিন্তু এটি উচ্চাকাঙ্খী শহুরে এলিট, যারা ঝুঁকি নিতে ও তৈরী করতে ভালোবাসে... ...এবং সমাজের এক বড় সংখ্যক লোকের মধ্যে বিভেদের সূচনা করে, যারা নিজেরা যা জানে তাতেই ভর করে বসে থাকে, এবং কখনো নিজেদের ক্ষুদ্র জমির থেকে নড়ার স্বপ্ন দেখেনা। সুতরাং "ঋতু/দ্য সিজনস" একপ্রকার আকর্ষণ ও দূরত্বের ভাবনা প্রকাশ করে: সেই মানুষের আকর্ষণ, যে একজন কৃষকের মধ্যে মানুষের শৈশবের জীবন্ত নমুনা পায়,... ...যার সাথে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করা ভালো : একজন দুরদৃষ্টির অধিকারী মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শনের প্রতি ও ইন্দ্রয়পরায়ণ,পতনশীল অভিজাতদের ভূমিনিয়ন্ত্রণের বিরোধিতার প্রতি বণিকের উদাসীনতা। এটি প্রশ্নের সম্মুখে চিত্রকলা সিজন ১ এর শেষ পর্ব ছিল। আপনি কী আরও পর্ব চান? বিস্তারিত তথ্য জানতে যোগাযোগ করুন : www.canal-educatif.fr স্ক্রীপ্ট লেখা ও পরিচালনা: প্রোডিউসার : বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা: অর্থসংগ্রহ ও জনসহযোগ: ভয়েসওভার: সম্পাদনা: মোশন গ্রাফিক্স পোস্ট প্রোডাকশন / সাউণ্ড রেকর্ডিং সঙ্গীত নির্বাচন সঙ্গীত বিশেষ ধন্যবাদ : বঙ্গানুবাদ : অর্পিতা দত্ত একটি CED নির্মিত তথ্যচিত্র