আমার নাম ম্যাক। বাচ্চাদের কাছে মিথ্যা বলা আমার কাজ, কিন্তু আমার মিথ্যাগুলো শুনলে সত্যি মনে হয়। আমি বাচ্চাদের বই লিখি, পাবলো পিকাসো এর একটি উদ্ধৃতি আছে, "আমরা সবাই জানি শিল্প কোন সত্য নয়, শিল্প হল এমন এক মিথ্যা যা আমাদেরকে সত্য অনুধাবন করায় অন্তত যে সত্য বুঝানো হয়েছে। একজন শিল্পীকে সে পদ্ধতি জানতে হয় যা দিয়ে তার মিথ্যার সত্যতা প্রমাণ করা যায় এই কথাটা যখন আমি প্রথম শুনি তখন আমি কিশোর এবং কথাটা আমার খুব পছন্দ হয়ে যায় যদিও আমার কোন ধারণা ছিল না এর মানে কি (হাসি) আমি ভাবলাম, তোমরা জানো যা নিয়ে আমি আজকে কথা বলতে এসেছি সত্য এবং মিথ্যা, কল্পনা এবং বাস্তবতা। তো, আমি কিভাবে এই পেঁচানো কথাগুলোর জট ছাড়াবো? চলো পাওয়ার পয়েন্টে একটা ভেনচিত্র দেখি। ["সত্যি, মিথ্যা"] (হাসি) তাহলে এখানে দেখা যাচ্ছে, বুম্। আমাদের কাছে আছে সত্যি এবং মিথ্যা সাথে একটি ছোট জায়গা, দুইয়ের কিনারে, ঠিক মাঝে দুইদিকেই দখল করে আছে, সেটাই শিল্প। ঠিক আছে। ভেনচিত্র। (হাসি) (হাততালি) কিন্তু এটা আসলে খুব কাজের না। যে জিনিসটা আমাকে বুঝতে সাহায্য করেছিল এই কথাটা এবং সাহিত্য রচনার শিল্প, তা হচ্ছে, বাচ্চাদের সাথে কাজ করা। আমি এক কালে সামার ক্যাম্পের উপদেষ্টা ছিলাম। আমি কাজটা করতাম কলেজের গ্রীষ্মের ছুটিতে, এবং কাজটা আমার খুব পছন্দের ছিল। একবার এটা ছিল চার থেকে ছয় বছর বয়সীদের খেলাধুলা বিষয়ক সামার ক্যাম্প। আমার কাজ ছিল চার বছর বয়সীদের রাখা, কাজটা ভালো, কারণ চার বছর বয়সীরা খেলতে পারে না, এবং আমিও পারি না। (হাসি) আমি খেলা খেলি চার বছর বয়সীদের মতই, তো যেটা হয় এই বাচ্চাগুলো কোনের চারপাশে বল ড্রিবল করে, এবং ক্লান্ত হয়ে যায় এবং তারা হয়তো এরপর কোন গাছের নিচে যায় যেখানে আমি আগে থেকেই বসে আছি -- (হাসি) -- এবং আমি তখন গল্প বানিয়ে তাদের শোনাতাম এবং আমি তাদের আমার জীবনের গল্প বলতাম। বলতাম কিভাবে আমি সপ্তাহশেষে বাড়ি ফিরতাম এবং ইংল্যান্ডের রানীর জন্য গোয়েন্দাগিরি করতাম কিছুদিনের মধ্যে, অন্য বাচ্চারাও যারা আমার গ্রুপের না তারাও আমার কাছে এসে বলতো, "তুমি ম্যাক, তাই না? তুমিই সেই ব্যক্তি যে ইংল্যান্ডের রানীর জন্য গোয়েন্দাগিরি করে।" আমি আমার সারাজীবন অপেক্ষা করতাম যে অপরিচিত কেউ আমাকে এই কথাটা জিজ্ঞেস করবে কল্পনা করতাম, সে হবে পরিপাটি রাশিয়ান নারী, কিন্তু,তুমি জানো,বার্কলি, ক্যালিফোর্নিয়ায় তুমি যা পাবে তা হল চার বছর বয়সীদের। এবং আমি বুঝতে পারলাম আমি যে গল্পগুলো শোনাই সেগুলো সত্যি যেভাবে আমি সেগুলো জানি এবং আকর্ষণীয়। আমার সবচেয়ে বড় সাফল্য --আমি এটা কখনই ভুলবো না-- সেখানে একটা ছোট মেয়ে ছিল রাইলি নামের। সে অনেক ছোট। এবং সে প্রতিদিন তার দুপুরের খাবার বাইরে নিয়ে আসতো এবং সে ফল ছুড়ে ফেলত। সে ফলটা নিতো, তার মা তাকে প্রতিদিন একটা করে বাঙ্গি দিতো, এবং সে ফলটা ঝোপে ছুড়ে ফেলতো তারপর সে ফল থেকে প্রক্রিয়াজাত খাবার খেত আর পুডিং এর কাপ, এবং আমি তাকে বলতাম, "রাইলি, তুমি এটা করতে পারো না তোমাকে ফল খেতে হবে।" সে আমাকে প্রশ্ন করতো, " কেন?" আমি বলতাম,"তুমি যদি ঝোপে ফল ছুড়ে ফেল, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি, জায়গাটা বাঙ্গি দিয়ে ভরে যাবে।" একারনেই আমার মনে হয় আমি এখন বাচ্চাদের গল্প শোনাই তাদের পুষ্টিবিদ হওয়ার বদলে। তারপর রাইলি বলতো,"এটা কখনই হবে না। এটা হতেই পারে না।" তাই ক্যাম্পের শেষদিনে, আমি খুব ভোরে উঠলাম এবং একটা ফুটি আনলাম মুদি দোকান থেকে এবং আমি সেটা ঝোপে লুকিয়ে রাখলাম, তারপর দুপুরের খাবারের সময়, আমি বললাম,"রাইলি কেন তুমি একবার ওদিকটায় যেয়ে একবার দেখে আসছো না তুমি কি করেছ।" এবং -- (হাসি)-- সে আস্তে আস্তে ঝোপের ভিতর দিয়ে গেল, এবং তার চোখগুলো খুব বড় হয়ে গেল, এবং সে ফুটিটার দিকে দেখালো যেটা কিনা তার মাথার থেকেও বড় ছিল, অ্যান্ড তারপর সব বাচ্চারা দৌড়ে সেখানে গেল এবং টার চারপাশে জড় হল এবং একটা বাচ্চা বলল,"আচ্ছা, ওটার উপরে একটা স্টীকার কেন?" (হাসি) এবং আমি বললাম,"একই কারণে আমি বলি তোমাদের স্টীকারগুলো ঝোপে ছুড়ো না। এগুলো ময়লার ঝুড়িতে ফেল। তুমি যখন এটা করো তখন এটা পরিবেশ নষ্ট করে। এবং রাইলি তারপর ফুটিটা সারাক্ষণ বহন করে বেড়ালো, এবং সে খুব গর্বিত ছিল। এবং রাইলি জানত সে সাত দিনে একটা ফুটি চাষ করেনি। সাথে সে এটাও জানত যে সে করেছিল, এবং এটা একটা অদ্ভুত জায়গা, কিন্তু এটা এমন একটা জায়গা যেখানে শুধু বাচ্চারাই যেতে পারে। এটা যেকোনো কিছু হতে পারে। এবং শিল্প আমাদেরকে সে জায়গায় নিতে পারে। সে ঐ জায়গাটায় ছিল, একেবারে মাঝে, সে জায়গাটাকে তুমি শিল্প বলতে পারো অথবা সাহিত্য। কিন্তু আমি এটাকে বলবো বিস্ময়। এটাকেই কোলরিজ বলেছিলেন ইচ্ছাকৃত দোদুল্যমান অবিশ্বাস অথবা কাব্যিক বিশ্বাস, সেসব সময় যখন কোন একটা গল্প, যতই আজব হোক, তাতেও সত্যের কিছু আভাস থাকে, এবং তারপর তুমি তা বিশ্বাস করতে পারবে। কেবল বাচ্চারাই সেখানে যেতে পারে না বড়রাও পারে, এবং আমরা সেখানেই যাই যখন আমরা পড়ি। এজন্যই দুইদিনের মধ্যে, মানুষ ডাবলিনে নামবে ব্লুমসডের হাঁটার সফরে অংশ নিতে এবং "ইলুসিয়াস" এ হওয়া সবকিছু দেখতে যদিও তার কিছুই সংঘটিত হয়নি। বা তারা লন্ডনে যাবে এবং বেকার স্ট্রীট দেখতে যাবে শুধু শার্লক হোমসের বাসা দেখতে, যদিও ২২১বি শুধু একটা সংখ্যা যেটা লেখা আছে এমন একটা ভবনে যেটার কখনি এই ঠিকানাটা ছিল না। আমরা জানি এই চরিত্রগুলো আসল না, কিন্তু তাদের জন্য আমাদের আসল অনুভূতি আছে। এবং আমরা এটা পারি, আমরা জানি এই চরিত্রগুলো আসল নয়, এবং সাথে আমরা এটাও জানি যে তারা আসল। বাচ্চারা এসব জায়গায় বড়দের থেকে অনেক সহজে যেতে পারে, এবং এজন্যই আমি বাচ্চাদের জন্য লিখতে ভালবাসি। আমার মনে হয় বাচ্চারাই সবচেয়ে ভালো শ্রোতা গুরুগম্ভীর কোন কথাসাহিত্যের। আমি যখন বাচ্চা ছিলাম, আমি গোপন দরজা সম্পর্কিত গল্পের জন্য পাগল ছিলাম, "নারনিয়া" এর মত জিনিসের জন্য যেখানে তুমি কোন পোশাকের আলমারি খুলবে এবং এর ভিতর দিয়ে কোন জাদুর দেশে চলে যাবে। এবং আমি এটা বিশ্বাস করতাম যে গোপন দরজা আসলেও আছে আমি তাদের খুঁজতাম ও চাইতাম ওর মধ্য দিয়ে যেতে আমি চাইতাম ঐ কল্পনার দেশে বাস করতে,যা আমি সবসময় মানুষের আলমারির দরজা খুলতাম। (হাসি) আমি আমার মায়ের ছেলেবন্ধুর আলমারির ভেতর দিয়ে চলে যেতাম, এবং সেখানে কোন গোপন জাদুর দেশ ছিল না। সেখানে কিছু অদ্ভুত জিনিস থাকতো, যেটা আমার মনে হয় আমার মায়ের জানা উচিত ছিল। (হাসি) এবং আমি তাকে এ নিয়ে সব বলে দিতে আনন্দ পেতাম। কলেজের পরে, আমার প্রথম চাকরি ছিল এরকম কোন গোপন দরজার পিছনে কাজ করা নিয়ে। এই জায়গার নাম ৮২৬ ভ্যালেন্সিয়া। এটা ৮২৬ ভ্যালেন্সিয়া স্ট্রীটে অবস্থিত সান ফ্রান্সিকোর মিশন নামক জায়গায়, আমি যখন সেখানে কাজ করতাম,ওখানে ম্যাকসুইনিস নামের একটা প্রকাশনা সংস্থার সদর দফতর ছিল একটা অলাভজনক লেখার কেন্দ্র ছিল ৮২৬ ভ্যালেন্সিয়া, এবং তার সামনে একটা অদ্ভুত দোকান ছিল। এই জায়গাটা খুচরা ব্যবসার জন্য, এবং সান ফ্রান্সিসকোতে, তারা আমাদের ব্যতিক্রম কিছু করতে দেবে না, সেজন্য যে লেখক এ জায়গাটার প্রতিষ্ঠাতা, উনার নাম ছিল ডেভ এগারস উনি নিয়ম মেনে নিলেন, উনি বললেন,"ঠিক আছে, আমি এখানে জলদস্যুদের প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান বানাবো।" এবং তিনি তাই করেছিলেন। (হাসি) এটা খুবই সুন্দর। এটা পুরোটা কাঠের তৈরি। সেখানে ড্রয়ার থেকে তুমি কমলা নিতে পারবে এতে তোমার স্কার্ভি হবে না। তাদের অনেক রঙের আইপ্যাচ আছে। কারন বসন্তকালে, জলদস্যুরা বনে যেতে চায়। তুমি জানো না।কালো রঙটা বিরক্তিকর। প্যাস্টেল। অথবা চোখ,সেগুলোও অনেক রঙের, কেবল কাঁচের চোখ,তুমি কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে চাও তার ভিত্তিতে। এবং দোকানটায়, অদ্ভুত যদিও, মানুষ আসে এবং জিনিসপত্র কেনে, তারা শেষ পর্যন্ত দোকানের পিছনে থাকা আমাদের টিউটরিং সেন্টারের জন্য ভাড়াও পরিশোধ করে কিন্তু আমার কাছে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, যেটা,আমি মনে করি তুমি যে ধরনের কাজ করো, বাচ্চারা আসবে এবং শিখবে তোমার লেখা থেকে, এবং যখন তোমাকে এরকম অদ্ভুত,ছোট, কল্পনার দেশে যেতে হবে তোমার লেখাও জন্য, এটা তুমি কি ধরনের লেখা তৈরি করো তার উপর প্রভাব ফেলবে। এটা এমনই একটা গোপন দরজা যার মধ্য দিয়ে তুমি যেতে পারো। তো, আমি ৮২৬ লস আঞ্জেলেস চালানো শুরু করলাম, এবং আমার কাজ ছিল দোকানটা ওখানে তৈরি করা। তো আমরা তৈরি করলাম একো পার্ক টাইম ট্রাভেল মার্ট। ওটা আমাদের নীতিঃ "তুমি যখনই থাকো, আমরা তখন আগে থেকেই আছি।" (হাসি) এবং এটা লস আঞ্জেলেসের সানসেট বোলিভার্ডে। আমাদের বন্ধুসুলভ কর্মচারীরা সবসময় প্রস্তুত আপনাকে সাহায্য করার জন্য। তারা সকল যুগের। এমনকি ১৯৮০ দশকের,শেষের ছেলেটার মত, তারা নিকট অতীতের। এরা হচ্ছে মাসের সেরা কর্মচারী, যাদের মধ্যে আছে চেঙ্গিস খান,চার্লস ডিকেন্স অনেক শ্রেষ্ঠ মানুষ আমাদের দেয়া পদবি দিয়ে উঠে এসেছে। এটা আমাদের ওষুধধালয় বিভাগ। আমাদের কিছু পেটেন্ট করা ওষুধ আছে, ক্যানোপিক জার তোমার অঙ্গের জন্য, সাম্যবাদী সাবান যাতে লেখা আছে, "এটা তোমার সারা বছরের সাবান।" (হাসি) আমাদের স্লাশ বানানোর মেশিনটি ভেঙে গেছে দোকান খোলার রাতে এবং আমরা জানতাম না আমাদের কি করতে হবে। আমাদের স্থপতি লাল সিরাপে আবৃত হয়ে গিয়েছিল। দেখে মনে হচ্ছিলো সে কাউকে খুন করেছে, যেটা কোন প্রশ্নই না অন্তত এই বিশেষ স্থপতির জন্য, এবং আমরা জানতাম না কি করা উচিত, এটা দোকানের লক্ষণীয় বস্তু।তাই আমরা "বিকল, গতকাল আসুন।"লেখাটা এর উপর দিয়ে দিলাম। (হাসি) এবং এটা শেষ পর্যন্ত স্লাশের থেকেও ভালো কৌতুকে পরিণত হল। তাই আমরা লেখাটাকে ওখানে এভাবেই রেখে দিলাম। ম্যামোথের টুকরা। এগুলা প্রতিটার ওজন ৭ পাউন্ডের মত। বর্বর নিবারক। এটা সালাদ এবং পপৌরিতে পূর্ণ -- যা বর্বররা অপছন্দ করে। মৃত ভাষা। (হাসি) জোঁক, প্রকৃতির ক্ষুদ্র চিকিৎসক। ভাইকিংদের সুগন্ধি, যেটা অনেকগুলো সুন্দর গন্ধে পাওয়া যায়; পায়ের নখ, ঘাম এবং পচা সবজি,পোড়াকাঠের ভস্ম। কারণ আমরা বিশ্বাস করি এক্স বডি স্প্রে শুধু যুদ্ধক্ষেত্রেই পাওয়া যাওয়া উচিত। তোমার হাতের নিচে নয়। (হাসি) এটা হচ্ছে রোবটদের আবেগের চিপ যাতে রোবটরা ভালবাসা অথবা ভয় অনুভব করে। আমাদের বেশি বিক্রি হয় অপরের কষ্টে সুখের অনুভূতি,যেটা আমরা কখনো আশাও করিনি। (হাসি) আমরা ভাবতেও পারিনি এরকম কিছু হবে। এর পেছনে একটা অলাভ উদ্দেশ্য আছে,বাচ্চারা "শুধু কর্মীদের জন্য"লেখা দরজা দিয়ে ঢুকে শেষে একটা জায়গায় পৌঁছায় যেখানে তারা বাড়িরকাজ করে এবং গল্প লেখে ও ছায়াছবি বানায় এবং এটা একটা বই প্রকাশের অনুষ্ঠান যেখানে বাচ্চারা পড়বে। একটা ত্রৈমাসিক প্রকাশিত হয় যেটা কেবল বাচ্চাদের লেখা দিয়েই তৈরি যারা প্রতিদিন স্কুলশেষে আসে, আমরা বই প্রকাশের অনুষ্ঠান করি, এবং তারা কেক খায় এবং তাদের অভিভাবকদের পড়ে শোনায় এবং শ্যাম্পেনের গ্লাসে দুধ খায় এটি একটি খুব বিশেষ জায়গা, কারণ এটা বাইরে থেকে দেখলে কোন অদ্ভুত জায়গা মনে হয়, এখানের রসিকতাগুলো আসলে কোন রসিকতা নয় তুমি কল্পনার কোন স্তর পাবে না, এবং আমি এত ভালবাসি, এটা কল্পনার একটি ছোট অংশ যা বাস্তব দুনিয়ায় অধ্যুষিত। আমি এটাকে একটা বইয়ের ত্রিমাত্রিক রূপ হিসেবে চিন্তা করি। মেটাফিকশন বলে একটা শব্দ আছে, এবং সেটা হচ্ছে গল্পের মাঝে গল্প নিয়ে, এবং বর্তমানে এর ই সময় চলছে। সর্বশেষ এর ভালো সময় গেছে ১৯৬০ এর দশকে জন বার্থ এবং উইলিয়াম গ্যাডিস এর হাত ধরে, কিন্তু এটা সবসময়ই ছিল। গল্প বলার শুরু থেকেই এটা আছে। এবং মেটাফিকশন এর একটা কৌশল হল মঞ্চের পর্দা উন্মোচন করা।তাই না? যখন একজন অভিনেতা দর্শকদের দিকে তাকায় এবং বলে,"আমি একজন অভিনেতা, এগুলো কেবল মঞ্চের অংশ।" এবং এই সৎ মুহূর্তেও, আমি তর্ক করব,মিথ্যার খাতিরে, কিন্তু এর হওয়া উচিত ছিল উপন্যাসের কৃত্রিমতার পুরোভূমি আমার জন্য,আমি উল্টোটাই পছন্দ করি। যদি আমি মঞ্চের পর্দা উন্মোচন করি, আমি চাই উপন্যাস পালিয়ে যাক এবং বাস্তব দুনিয়ায় চলে আসুক। আমি চাই প্রতিটা বই একেকটা গোপন দরজা হোক যা খুলে যায় এবং গল্পগুলোকে বাস্তবে বের হতে দেয়। এ কারণে আমি এ জিনিসটা আমার বইয়ে রাখার চেষ্টা করি। এখানে একটা উদাহরন দেই। এটা আমার লেখা প্রথম বই। এটার নাম "বিলি টুইটারস এবং তার নীল তিমি সমস্যা।" এটা একটা বাচ্চাকে নিয়ে যে একটা নীল তিমি পায়। কিন্তু এটা ছিল একটা শাস্তি এবং এটা তার জীবনকে বিষিয়ে তোলে। এবং তাই এটা এক রাতে ফেডআপ দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়। (হাসি) এবং তার এটাকে স্কুলেও নিয়ে যেতে হত। সে সান ফ্রান্সিসকো থাকে -- একটা নীল তিমি রাখার জন্য অনেক কঠিন শহর। অনেক বাধা,ভুসম্পত্তি ব্যবসা শিখরে। এই বাজারটা পাগল। বইয়ের বহিরাবরনের নিচে এটা রয়েছে, এবং এটাই বহিরাবরনের নিছের দিকের আবরণ, এবং এখানে একটা বিজ্ঞাপন রয়েছে যেটা ৩০ দিনের জন্য ঝুঁকিহীন সুযোগ দিচ্ছে একটা নীল তিমির জন্য। তুমি কেবল ঠিকানা দেয়া স্ট্যাম্প লাগানো একটা খাম পাঠিয়ে দিলেই আমরা তোমাকে একটা তিমি পাঠাবো। এবং বাচ্চারা এটার জন্য লেখে। তো এখানে একটা চিঠি।যাতে লেখা, "প্রিয় কর্মচারিগণ, আমি ১০ ডলার বাজি ধরতে পারি যে তোমরা একটা নীল তিমি পাঠাতে পারবে না। এলিয়ট গ্যানন (বয়স ৬)।" (হাসি)(হাততালি) তো এলিয়ট এবং অন্য বাচ্চারা যারা এগুলো পাঠায় তারা একটা চিঠি পায় একটা নরওয়েজিয়ান আইন সংস্থা থেকে - (হাসি) - যেখানে বলা আছে কাস্টমস আইনে পরিবর্তন আসার কারণে, তাদের তিমি সোনইয়োনফিরজে রেখে দেয়া হয়েছে, যেটা অনেক সুন্দর ফিরজ, এরপর সোনইয়োনফিরজ এবং এবং নরওয়েজিয়ান খাবার নিয়ে কথা বলতে থাকে।এগুলো অবান্তর। (হাসি) কিন্তু এটা শেষ করে এটা বলার মাধ্যমে তোমার তিমি তোমার কথা শোনার জন্য খুবই আগ্রহী। সে একটা ফোন নাম্বার পায়, তুমি ফোন করতে এবং তোমার বার্তা রেখে যেতে পারো, এবং যখন তুমি ফোন করবে এবং বার্তা পাঠাতে যাবে, তুমি একটা বার্তা শুনতে পাবে, যেটা কেবল একটা তিমির শব্দ এবং তারপর একটা বিপ, যেটা সত্যি বলতে অনেকটাই তিমির শব্দের মত, এবং তারা তাদের তিমির একটা ছবিও পায়। এটা হচ্ছে র্যান্ডলফ, এবং র্যান্ডলফ নিকো নামের এক বাচ্চার তিমি যেকিনা প্রথমদিকে যোগাযোগকরা বাচ্চাদের একজন, আমি তোমাদের নিকোর পাঠানো কিছু বার্তা শোনাই। এটা নিকোর পাঠানো প্রথম বার্তা। (অডিও)নিকোঃ হ্যালো,নিকো বলছি। আমি তোমার মালিক,র্যান্ডলফ।হ্যালো। তো এটা প্রথমবারের মত আমি তোমার সাথে কথা বলছি, এবং আমি হয়তো খুব শীঘ্রই তোমার সাথে আবার কথা বলবো।বিদায়। ম্যাক বার্নেটঃ তো নিকো ফিরতি ফোনকল পাঠালো, ঘন্টাখানেক পড়ে। (হাসি) এটা হচ্ছে নিকোর পাঠানো বার্তাগুলোর মধ্যে আরেকটা। (অডিও)নিকোঃহ্যালো,র্যান্ডলফ, আমি নিকো বলছি। আমি তোমার সাথে অনেকদিন কথা বলি না, কিন্তু আমি তোমার সাথে কথা বলেছি শনিবার এবং রবিবার, হ্যাঁ,শনিবার ও রবিবার, তাই এখন আমি তোমাকে আবার কল করলাম তোমাকে হ্যালো বলার জন্য এবং আমি কল্পনা করি তুমি এখন কি করছো, এবং হয়তো আমি তোমার আবার যোগাযোগ করব আগামীকালকে অথবা আজকে, তাহলে আমি তোমার সাথে পড়ে কথা বলবো, বিদায়। তো সেদিন সে আবার যোগাযোগ করল। সে র্যান্ডলফকে ২৫টা বার্তা পাঠিয়েছিল চার বছর ধরে। তুমি তার সম্পর্কে সবকিছুই জানতে পারবে তার দাদি যে তাকে অনেক ভালবাসে এবং তার দাদি,যাকে সে কিছুটা কম পছন্দ করে- (হাসি)- এবং তার মিলানো ক্রসওয়ার্ড পাজল সম্পর্কে এবং এটা হচ্ছে-আমি নিকোর আর একটা বার্তা শোনাবো। এটা নিকোর পাঠানো ক্রিসমাসের বার্তা। [বিপ](অডিও)নিকোঃহ্যালো,র্যান্ডলফ, আমি তোমার সাথে অনেকদিন কথা বলিনি বলে দুঃখিত। আমি অনেক ব্যস্ত ছিলাম কারণ স্কুল খুলে গেছে, তুমি সম্ভবত জানো না, যেহেতু তুমি একটা তিমি,তাই তুমি জানো না, এবং আমি তোমাকে এটা বলতে কল দিয়েছি যে, তোমার ক্রিসমাস শুভ হোক। তো একটা ভালো ক্রিসমাস উদযাপন করো, এবং,বিদায় র্যান্ডলফ,শুভবিদায়। এমবিঃ পরে আমি নিকোকে পাই, আমি তার থেকে ১৮ মাস কোন বার্তা পাইনি, এবং সে ২ দিন আগে একটা বার্তা পাঠিয়েছে। তার কণ্ঠস্বর সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে, কিন্তু সে তার পরিচর্কাযাকারীকে ফোনটা ধরিয়ে দেয়, এবং তার পরিচর্যাকারীও র্যান্ডলফের সাথে অনেক ভালো ব্যবহার করে। কিন্তু নিকোই হচ্ছে সেরা পাঠক আমি আশা করতে পারি। আমি চাইবো আমি যাদের জন্য লিখতাম তাদের যে কেউ সেই জায়গাটায় আবেগ দিয়ে থাকুক আমি যা তৈরি করছি তা দিয়ে আমি নিজেকে ভাগ্যবান অনুভব করি। নিকোর মত বাচ্চারাই সেরা পাঠক, এবং তারা আমাদের সেরা গল্পগুলোরই যোগ্য। অনেক ধন্যবাদ। (হাততালি)