আমি একজন ব্লগার, চিত্রনির্মাতা
ও একজন কসাই
এবং আমি ব্যাখ্যা করবো কিভাবে
এই পরিচয়গুলো একত্রিত হয়
এর সূত্রপাত চার বছর আগে,
যখন আমি এবং আমার এক বন্ধু রমজানের প্রথম
রোজা ভাংলাম নিউ ইয়র্ক
শহরের একটি ব্যস্ততম মসজিদে।
সারা রাস্তাজুড়ে দাড়িওয়ালা ও
টুপি পড়া মানুষের ভিড়।
যেকোন এফবিআই গোয়েন্দার জন্য যা দুঃস্বপ্ন।
(হাসি)
কিন্তু এই সম্প্রদায়ের অংশ হিসেবে আমরা
জানতাম তা কতটা আন্তরিক ও উষ্ণ।
বছরের পর বছর ধরে, আমি দেখেছি এই পরিসরকে
মৃত ও শীতল পাথর হিসেবে
উপস্থাপন করা হয়েছে।
অনেকটাই যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমান অভিজ্ঞতা
যা গৎবাধা।
এই ক্ষীণদৃষ্টি দেখে হতাশাগ্রস্থ হয়ে,
আমার এবং আমার বন্ধু মাথায় এক বুদ্ধি আসলোঃ
অন্য কোন প্রদেশের অন্য কোন মসজিদে রমজানের
প্রতিটি রোজা ভাঙ্গবার এবং
একটি ব্লগে সেই গল্পগুলো শেয়ার করা।
আমরা এর নাম দিলাম,
"ত্রিশ দিনে ত্রিশ মসজিদ"।
এবং আমরা ৫০টি প্রদেশের
প্রত্যেকটিতে গাড়ি চালিয়ে গেলাম।
এবং ১০০ এর বেশি মুসলমান সম্প্রদায়ের
কথা শেয়ার করলাম,
কম্বোডিয়ান থেকে আগত এল এ প্রকল্পের
শরনার্থী থেকে
দক্ষিণ ক্যারোলিনাতে বসবাসকারী
কালো সুফিরা।
যা ফুটে এলো তা হচ্ছে
সুন্দর ও জটিল এক যুক্তরাষ্ট্র।
প্রচার মাধ্যমের কারণে
স্থানীয় সংবাদকর্মীরা
মুসলিম সম্প্রদায়ে আবার গেল।
কিন্তু যা সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ছিল
তা হচ্ছে সারা বিশ্বের মানুষ
তাদের নিজস্ব ৩০ মসজিদ প্রকল্প নিয়েছিল
অনুপ্রাণিত হয়ে।
এমনকি দু'জন এনএফএল ক্রীড়াবিদ ছিল
যারা লীগ থেকে বিশ্রাম নিয়েছিল
এটি করার জন্য।
একদিকে যখন বিশ্বজুড়ে ৩০ মসজিদ প্রকল্প
জনপ্রিয়তা লাভ করছিল
আমি তখন একটি চলচ্চিত্রের কাজে পাকিস্তানে।
আমার সমন্বয়কারী, ওমর
এবং আমি আমাদের অনেক
বন্ধুর সাথে সহনশীলতার
শেষ সীমায় পৌছেছি।
চলচ্চিত্রের নাম 'এই পাখিদের হাঁটাএই পাখিরা কথা বলে।"
এটি নিরঙ্কুশ পথশিশুদের নিয়ে বানানো,
যারা সংগ্রাম করছে পরিবারের
জন্য কিছু একটা করবার।
আমাদের বিষয়ের কেন্দ্রে ছিল
যুব এবং পরিবারের অনৈক্য,
কিন্তু আমাদের বন্ধুরা বারবার চাপ দিচ্ছিল
ড্রোন এবং পরিকল্পিত হামলা নিয়ে মন্তব্য করতে
যাতে চলচ্চিতটি আরও সাম্যঞ্জস্যপূর্ণ হয়,
যা ঐ মানুষগুলোর গল্পের মধ্য দিয়ে প্রকাশ বিষয়কে
সামাজিক-রাজনৈতিক এক প্রতীকে রূপ দেয়।
অবশ্যই, আমরা তাদের কথা শুনিনি,
এর পরিবর্তে, আমরা আমাদের ভালবাসায় ভাষা এবং
যৌবনের উচ্ছলতা দিয়ে জিতে নিয়েছি।
আমাদের সিনেমার পিছনে বিষয়সূচি
শুধুমাত্র সহানুভূতি ছিল,
এক অনুভূতি যা আমাদের অংশের বিশ্ব থেকে
নির্মিত চলচ্চিত্রে নেই বললেই চলে।
এবং 'এই পাখিদের হাঁটা' চলচ্চিত্রটি মেলা এবং
মঞ্চে আন্তর্জাতিকভাবে দেখানো করা হয়।
অবশেষে আমি আমার নিউ ইউর্কের বাসায় পা রাখলাম,
এবং অতিরিক্ত সময়, এবং কোন প্রকৃত আয় নেই।
আমার স্ত্রী আমাকে আরও বেশি করে রান্না করবার কাজ দেয়।
এবং যখনই আমি স্থানীয় কসাইয়ের দোকানে যাই হালাল মাংস কিনতে,
কিছু একটা ঠিক মনে হতো না,
যারা জানেন না তাদের জন্য হালাল শব্দটি
মাংসের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়
যা ইসলামিক নিয়ম মেনে জবাই করা হয়।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে,যুক্তরাষ্ট্রের
অধিকাংশ হালাল মাংস
মান আমার ধর্মে বিশ্বাসীদের
প্রত্যাশার সমান হয়ে উঠতে পারেনি।
আমি যতই এই অনৈতিক চর্চা সম্পর্কে শিখেছি
ততই লঙ্ঘিত আমি অনুভব করলাম
কারণ আমার নিজের সম্প্রদায়ের ব্যবসাসমূহ
এই গোঁড়ামির সুযোগগুলো ব্যবহার করছিলো।
তাই, আবাগের তীব্র গতি এবং
কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই,
আমি এবং আমার কয়েক বন্ধু
ইস্ট ভিলেজ ফ্যাশন ডিস্ট্রিক্টে
একটি মাংসের দোকান চালু করি।
(হাসি)
আমরা এর নাম দিয়েছি 'হনেস্ট চপস',
এবং আমরা প্রাকৃতিকভাবে
প্রাণিদের বড় করছি এবং
এই হালাল মাংস শ্রমজীবি মানুষের হাতের
নাগালের মধ্যে আনার চেষ্টা করছি।
এর মত কোনকিছুই যুক্তরাস্ট্রে নেই।
বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে আমাদের দোকানের ৯০%
মুসলমান নন।
অনেকের জন্য এটাই প্রথম
ইসলামের সংস্পর্শে আসা
এরকম এক ঘনিষ্ঠ পর্যায়ে।
তো এরকম বিসদৃশ প্রকল্প-- (হাসি)--
অস্থিরতার ফসল।
এই প্রকল্পগুলো সেই সব ব্যবসায়ী
ও স্বাথান্বেষীদের জন্য প্রতিক্রিয়া
যারা কষ্ট করে আমার বিশ্বাস
ও সম্প্রদায়কে অতিসরলীকরণ করতে।
এবং তাদের যন্ত্রকে হারানোর একটাই
পথ তা হছে ভিন্ন নিয়মে খেলা।
আমাদের অবশ্যই একটি সৃজনশীল
পদ্ধতি নিয়ে যুদ্ধ করতে হবে।
আস্থার সঙ্গে, প্রবেশাধিকারের সঙ্গে, ভালবাসার
সঙ্গে, যে ভালবাসা কেবল আমরা আনতে পারি
আমাদেরকে অবশ্যই কোন ক্ষমা ছাড়াই
আমাদের বিশ্বাসকে পুনুরুদ্ধার করতে হবে
প্রতিটি চলন্ত ছবি, প্রতিটি মাংসের কোপে,
কারণ আমরা যদি আমাদের গল্পকে
সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে সাদা করে ফেলি
আমাদের শুধুমাত্র পতনই হবে না,
বরং আমরা তাদের দ্বারা পেষিত হবো
যাদের অনেক বেশী টাকা ও অন্যান্য সম্পদ রয়েছে
আমাদের গল্প বলার জন্য।
কিন্তু সৃষ্টিশীল সাহসের জন্য আহ্বান
নতুনত্ব বা প্রাসঙ্গিকতার জন্য নয়।
তা এই জন্যে যে আমাদের সম্প্রদায়
যথেষ্ট মৌলিক এবং যথেষ্ট সুন্দর।
তারা আমাদের কাছে দাবি করেন আপোসহীন উপায়
স্বীকৃত ও সম্মানিত হবার জন্য।
ধন্যবাদ
(হাততালি)